পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর, দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস ও অন্যান্য ধর্মীয় ছুটির কারণে প্রায় ৪০ দিনের দীর্ঘ বিরতির পর আগামী বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। এর মধ্য দিয়ে আবারও শিক্ষাঙ্গন ফিরে পাচ্ছে প্রাণচাঞ্চল্য। শ্রেণিকক্ষে শুরু হবে নিয়মিত পাঠদান, নতুন করে বাজবে শ্রেণি শুরুর ঘণ্টা।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ছুটির আগে সর্বশেষ ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর শুরু হয় ধারাবাহিক ছুটি, যা শেষে শিক্ষার্থীরা আবার ফিরছে পাঠদানে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ঝাড়ু-মোছাসহ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। শিক্ষার্থীদের স্বস্তিদায়ক ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ফিরিয়ে নিতে নেয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।
বই বিতরণও সম্পন্নের পথে
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সূত্র জানিয়েছে, ছুটি শেষে প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। রাজধানীর অধিকাংশ স্কুলেই বই পৌঁছে গেছে। কিছু শ্রেণিতে বাকি থাকা ২-৩টি বই ইতোমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ক্লাস শুরুর দিনেই।
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রস্তুতি ও ক্লাস ব্যবস্থা
এদিকে, ১০ এপ্রিল শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে ক্লাস পরিচালনা নিয়ে চলছে বিশেষ পরিকল্পনা। মাউশি জানিয়েছে, পরীক্ষার দিনগুলোতে কেবলমাত্র ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সকালে পরীক্ষা হলে বিকেলে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠচক্রে ছেদ না পড়ে, সেই ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রস্তুতির দিকেও নজর
দীর্ঘ ছুটির পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুনরায় শিক্ষায় মনোযোগ ফেরানো একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এজন্য শিক্ষকেরা শুরুতে কিছুটা সহানুভূতিশীল ও সহযোগিতামূলক পদ্ধতিতে ক্লাস পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেখার আগ্রহ জাগাতে বিশেষ অনুশীলন ও আলোচনার আয়োজন করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাণ ফিরে আসছে। শিক্ষা কার্যক্রমে গতি ফেরাতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ, যা শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।